অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চালু রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। তিনি বলেন: সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার আবেদন, বইমেলার সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত করা হোক।
আনিসুল হক বলেন: আমরা যখন প্রথম ঢাকায় আসি তখন বইমেলা রাত নয়টা পর্যন্তই ছিল। এখন যানজট বেড়েছে। পাঁচটায় অফিস শেষ করে যানজট ঠেলে মেলায় আসতে আসতে সময় শেষ হয়ে যায়। যারা বিভিন্ন ব্যবসা করেন তাদের অনেকের দোকান বন্ধই হয় রাত আটটায়। এতে অনেকেই মেলায় আসতে পারেন না।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: পাঠকদের বিভ্রান্তির হাত থেকে বাঁচাতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এনজিওর স্টল রেখে শিশু ও লিটলম্যাগ চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে আসতে হবে।
‘বইমেলার অবস্থান নিয়ে এখনও অনেকের কনফিউশন আছে। তারা বাংলা একাডেমি অংশ থেকে ফিরে যান। অনেকে জানেন না মূল বইমেলা চলে এসেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এই কনফিউশনটা কিভাবে দূর করা যায় সেটা ভাবতে হবে। বাংলা একাডেমিতে শুধু এনজিও বা সংগঠনগুলো থাকুক। লিটলম্যাগ চত্বর, শিশু চত্বরসহ বই সংশ্লিষ্ট সবকিছু চলে আসুক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে’, বলেন এই কথাসাহিত্যিক।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সুন্দর বইমেলার জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করেন তিনি। বলেন: রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো থাকলে বইমেলা ভালো হবে। মেলার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকুক। মানুষেরা আসুক, বই দেখুক, তাদের ইচ্ছেমতো বই কিনুক।
মেলাকে আরও অর্থবহ করতে প্রকাশকদেরও ভূমিকা রাখা উচিত বলে মনে করেন আনিসুল হক। তিনি বলেন: ভালো বই যেন বের হয়। প্রকাশকরা যেন বইগুলো ভালোমতো এডিট করেন। বাছাই করে প্রকাশযোগ্য বই-ই যেন প্রকাশ করা হয়। কেউ যদি সখ করে লেখেনও, সেই সৌখিন বইগুলোও যেন প্রফেশনাল সম্পাদক দিয়ে সম্পাদনা করিয়ে নির্ভুলরূপে প্রকাশ করা হয়।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৮তে দু’টি উপন্যাস, একটি গল্পের বই, কলামের বই ২টি এবং একটি কিশোর উপন্যাস প্রস্তুত করছেন তিনি। উপন্যাস ‘বন্ধু কাজল ভোমরা’, ছোটদের জন্য ‘ইতি তুমি কেমন আছো’সহ পাঁচ ছয়টি বই প্রথমা, সময় প্রকাশন, পার্ল পাবলিকেশন্স, অনন্যা, কাকলীসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনী থেকে বের হবে।