রাতভর বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার সড়কের পাশে, বাসা-অফিসের ভেতর এবং সড়ক বিভাজনের বিভিন্ন স্থানে লাগানো গাছপালা ভেঙে পড়ছে। সেইসঙ্গে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা।
আবহওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত ২টার পর থেকে এমন ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বুধবার সকাল পর্যন্ত ঢাকায় ৬৩ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানীতে বাতাসের গতি ছিল ৭৮ কিলোমিটার।
উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে গতরাত থেকে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস।
এছাড়া বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর হাইকোর্ট, তেজগাঁও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এমনকি অনেক অফিস বিল্ডিং এর ভেতরের গাছগুলো ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা যায়,আগামী কয়েকদিন আবারও বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে পারে।সেই সাথে ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।