ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১৭ রান সংগ্রহ করেছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। সর্বোচ্চ স্কোরার ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আব্দুর রাজ্জাক। ৬১ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন এ বাঁহাতি।
বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে ২৭৯ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৭ রান তুলেছে মধ্যাঞ্চল। ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন সাদমান ইসলাম। এ বাঁহাতি ওপেনারের উইকেটটি নিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে আরও ২৭২ রান করতে হবে দলটিকে, হাতে উইকেট ৯টি।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন সকালে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। শাহরিয়ার নাফীস ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় তারা। শুভাগত হোমের ঘূর্নিতে ৩০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এনামুল। ৫৬ রানে কাটা পড়ে ওপেনিং জুটি। পরে নাফীসের ব্যাটে এগিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। ৭২ রান করে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তুষার ইমরানের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
নবম উইকেটে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তাণ্ডব চালান রাজ্জাক। দুজনে যোগ করেন ৮০ রান। জিয়াউর ৩৪ রানে ফেরেন। পরে ১০ নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান রুবেল হোসেন। এতে তিনশ পেরোয় দক্ষিণাঞ্চল। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন রুবেল।
শুভাগত হোম ও তাইবুর রহমান চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।
অপর ম্যাচে বিকেএসপিতে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের করা ৪৯০ রানের জবাবে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান তুলেছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। সেঞ্চুরির পথে রয়েছেন নাঈম ইসলাম। ৮৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গী সোহরাওয়ার্দী শুভ অপরাজিত ৩৫ রানে। ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে ম্যাচটি।
আবু জায়েদ রাহি, আফিফ হোসেন, আবুল হাসান, সাকলাইন সজীব, তাসামুল হক ও অলক কাপালি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।