চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক, কবি এবং গবেষক রাজীব মীরকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানালেন তার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বন্ধু, সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা।
রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে রাজীব মীরের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে রাখা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সোমবার ভোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং নিজ এলাকার পরাণগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে সাংবাদিক রাজীব মীরকে।
ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে টানা দুই দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।
রাজীব মীরের ছোট বোন সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমীন জানান, তিন ভাইবোনের মধ্যে রাজীব ছিলেন সবার বড়। শুক্রবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে তাঁর ভাই মারা যান।
সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষক লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিন মাস আগে চিকিৎসার জন্য তিনি চেন্নাই যান। তখন চিকিৎসকরা জানান, দুই মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা না হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। শিক্ষক রাজীব মীরের চিকিৎসার জন্য প্রায় এক কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। পরবর্তীকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা মিলে সেই অর্থ জোগাড় করার চেষ্টা করেন।
সৈয়দা ফারজানা জানান, একপর্যায়ে লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয় অর্থ হাসপাতালে জমা দেওয়া হলে অস্ত্রোপচারের জন্য গত শনিবার সময় নির্ধারণ করা হয়। ডোনারসহ সবকিছুই প্রস্তুত ছিল, কিন্তু গত শনিবারের আগে হার্ট অ্যাটাক হয় রাজীবের। এরপর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করা রাজীব কবিতার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও লেখালেখি করতেন।