শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৫৯ রানেই সাজঘরে ফেরেন সফরকারীদের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান। সৌজন্য রঙ্গনা হেরাথের বিধ্বংসী বোলিং। এই লঙ্কান স্পিনারের ৪ উইকেটেই খেঁই হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুইয়ানরা।
তবে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা এবং ম্যালকম ওয়ালার দলকে পথ দেখাচ্ছেন। তাদের ১০৭ রানের ঘুরে দাঁড়ানো অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তৃতীয় দিন শেষে ২৬২ রানের লিড নিয়েছে সফরকারীরা। হাতে এখনও ৪ উইকেট। রাজা অপরাজিত ৯৭ রানে।
ক্রেইগ আরভিনের ১৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৪৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ওপেনার এবং সাবেক অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। আরেকটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস আসে নতুন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের (৫৫) ব্যাটে।
পরে ১০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু দলীয় ১৪ রানেই আঘাত হানেন রঙ্গনা হেরাথ। ফিরিয়ে দেন ৬ রান করা চাকাভাকে। ২ রানের ব্যবধানে তার শিকার হন মুসাকান্দা (০)। অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হেরাথের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ৭ রানে। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আরভিনকেও (৫) ফিরিয়ে দেন দিলরুয়ান পেরেরা।
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের দুর্গে চতুর্থবারের মত আঘাত হানেন হেরাথ। এবার তার শিকার ২২ রান করা শেন উইলিয়ামস।
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ষষ্ঠ উইকেটে অর্ধশতাধিক রানের জুটি উপহার দেন সিকান্দার রাজা এবং পিটার মুর। দুজনের জুটিতে আসে ৮৬ রান। ৪০ রান করে মুর আউট হওয়ার পর ম্যালকম ওয়ালারকে সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন রয়েছেন রাজা।
ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান দূরে রাজা। ওয়ালারও নিজের হাফসেঞ্চুরি (৫৭) পূর্ণ করেছেন।