প্রথম দফায় ‘১০ হাজার ৭৮৯’ জন রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সমালোচনার মুখে তা স্থগিত করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৬ মার্চ রাজাকারের পরবর্তী তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এর আগে রাজাকার তালিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন: ‘‘বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনাও তা জানেন। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অলরেডি তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভুল সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছে।
আমাদের নেত্রীও যাচাই-বাছাই করে ভুলভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করে তালিকা প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই মন্ত্রণালয় সংশোধনের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে। কাজেই এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়।’’
এরপর ওই তালিকা স্থগিতের এমন ঘোষণা আসলো।
প্রথম দফায় প্রকাশিত তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম আসা এবং আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকারের নাম তালিকায় না থাকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজাকারের নামের তালিকায় ‘ভুল হয়ে থাকলে’ তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গত মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন: রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেই ব্যাপারে যে আপত্তিগুলো আসবে তা তদন্ত সাপেক্ষে সংশোধনী আনা হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন: এ বিষয়ে যারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালিকা স্থগিতের আগে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজাকার, আলবদর, আল-শামসের কোন তালিকা নেই, দালাল আইনে যাদের নাম এসেছিলো মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে শুধু তাদের নাম পাঠানো হয়েছিলো।
এর আগে রাজাকারের তালিকা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু।
এছাড়া রাজাকারের তালিকা থেকে গোলাম আরিফ টিপুর নাম আজকের মধ্যে প্রত্যাহার করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।