প্রায় সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্য অর্জনে কৌশলগত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর। আয়কর, মূল্য সংযোজন কর মূসক এবং আমদানি শুল্ক ৩ বিভাগকেই আলাদা বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনাও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪’শ ৪৩ কোটি টাকা। এর সিংহভাগ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩’শ ৭০ কোটি টাকা আয়ের দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর’র। ৩২ হাজার ৭৩ কোটি টাকা আসবে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে। ৫ হাজার ৮’শ কোটি টাকার বিদেশী অনুদানও আয়ের খাতায় দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এই যে বিশাল আয়ের ফর্দ তা কিভাবে বাস্তবে আদায় হবে, কি ম্যাজিক আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের?
এনবিআরের চেয়্যারম্যান নজিবুর রহমান বললেন, লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আর সেই মাফিকই আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি। আমরা এরই মধ্যে একটা বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জণগণকে, বিশেষ করে আমাদের যারা করদাতা এবং যারা নতুন করদাতা তাদের আমরা উদ্বুদ্ধ করবো। নতুন জরিপ করার জন্য আমরা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছি।
নতুন করদাতাকে কর জালে আনা এবং একই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে পাওনা আদায়, পারফরমেন্স এগ্রিমেন্টের আওতায় সরকারের উন্নয়ন ব্যয়ে গতিশীলতার ভরসায় বিশাল আয়ের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে আশাবাদী এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমরা গ্রামীন অর্থনীতিতে যে গতিশীলতা দেখছি, তা বেশ কাজে আসে। একেকটি শহর একেকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছেন তার আলোকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এসব বিষয়াদি চিহ্নিত হবে। পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছি এবং সেসব বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব বিষয়ে সবার পরামর্শই গ্রহণ করা হবে।
এনবিআর এর কয়েক হাজার কোটি টাকা আটকে আছে বিভিন্ন মামলার কারণে। ওইসব মামলা প্রয়োজনে বিশেষ আদালত বসিয়ে নিস্পত্তি করে রাজস্ব আয় বাড়ানোরও পরিকল্পনা আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের।