রাজশাহী,চাপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা জেলায় পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার আশংঙ্কা করলেও তা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। নাশকতা মোকাবেলায় সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নজরদারী। কোন দলকে ছাড় নয়, ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে গুলির নির্দেশ রয়েছে পুলিশের।
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, মধ্যরাতেই থেমে যাবে ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনের সব ধরণের প্রচার প্রচারণা। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন আর প্রার্থীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যেই ১০২টির বদলে ২২৯টি পৌরসভায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে বিজিবি। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে রাজশাহী বিভাগের ৭টি জেলার নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে একজোট হয়ে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
রাজশাহীর সীমান্ত লাগোয়া শহর গুলোতে সীমান্তের সব ধরণের কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে বাড়ানো হয়েছে বিশেষ নজরদারী। রাজশাহী, চাপাইনববাগঞ্জ ও অন্য অঞ্চল গুলোতে নাশকতার আশংকায় রাখা হচ্ছে বাড়তি পাহারা।
রাজশাহী বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ফেরদাউস শাহাব, জেলার সব এলাকাকে সমানভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা এগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেসব জায়গায় আমাদের বিশেষ নজরদারী থাকবে। ভ্রাম্যমান স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আমরা দায়িত্বপালন করবো।
চাপাইনবাবগঞ্জের ৪টি পৌরসভায় প্রচারনা উৎসবের কমতি না থাকলেও নির্বাচনকে ঘিরে উৎকন্ঠায় রয়েছে প্রশাসন। চাপাইনবাবগঞ্জ সদর পৌরসভা ও শিবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনী সহিংসতার আশংকা করছে প্রশাসন। নির্বাচনকে ঘিরে জঙ্গী হামলাসহ যে কোন অরাজকতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ।
চাপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: বশির আহমেদ বলেন, ‘তারা যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো মাথায় রেখেই তাদের তালিকা করেছি’।
প্রশাসন জানিয়েছে সব ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসা যাওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোন কমতি থাকবেনা । সেই সাথে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি ভোটারদের আস্থা রাখার আহ্বানও জানিয়েছে প্রশাসন ।