মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রাজপথে থাকবে গণজাগরণ মঞ্চ।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় বহালের দাবিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণ মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলো। সেই সাথে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কুখ্যাত ঘাতক বাহিনী আল বদরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার ছিলো। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ১৯৭৭ সালে নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আবির্ভূত হয়। এই ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলো যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মীর কাসেম আলী।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবার পর থেকে এই মীর কাসেম আলী মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
এরআগে, গণজাগরণ মঞ্চ মীর কাসেমকে রক্ষার সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশ, গণ-অবস্থান, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে রাজপথে গণজাগরণ মঞ্চ ঐ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করার কথা রয়েছে।