কিশোর-কিশোরীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা ভালো বলে মত দিয়েছে এক গবেষণা প্রতিবেদন। শিশু উন্নয়ন গবেষণার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যে কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ ভোট প্রদান এবং স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তারা একাডেমিক এবং আর্থিকভাবে তাদের চেয়ে ভালো থাকে, যারা রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনে তেমন কোন অবদান রাখে না।
রাজনৈতিক এবং সামাজিক কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ততার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পরিমাপ করতে যৌথভাবে ওয়েক ফরেস্ট স্কুল অফ মেডিসিন, ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় নানা বর্ণ, গোষ্ঠি ও সমাজের নানা স্তরের প্রায় দশ হাজার তরুণের উপর চালানো এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়: ‘নাগরিক এসব কর্মকাণ্ড একাডেমিক ভালো ফলাফল এবং অর্থনৈতিক সমবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাবে কাজ করে থাকে, অল্প বয়সে স্কুলের কর্মদক্ষতা এবং পিতামাতার শিক্ষা তাদের পরবর্তীতে জীবনে যতোটা সহায়তা করে তার চেয়েও বেশি।’
মূলত নাগরিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের অংশগ্রহণের তাৎপর্য তুলে ধরা ছিল ওই গবেষণার মূল বিষয়। গবেষণা পরিচালনাকারী ওয়েক ফরেস্ট স্কুল অফ মেডিসিনের সহকারী শিক্ষক প্যারিসা বালার্ড বলেন: স্বেচ্ছাসেবী ও এসব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের ভবিষৎ সম্ভাবনা এবং তাদের নিজেদের সম্পর্কে কী চিন্তা করে তা জানতে পারবে।
যে তরুণরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করে তারা নানা জটিল বিষয়ে অভিজ্ঞ হয় এবং চাপ নিতে সক্ষম হয় বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।