রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় বিচার চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লুই কানের স্থাপত্য নকশার নামে জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর চক্রান্ত জনগণ মেনে নেবে না বলেও মন্তব্য তার।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্র্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতা-কর্মীরা। এতে শরীক হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদান ও চিহ্ন মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে সরকার।
দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যারা সত্যিকার অর্থেই জনগণের প্রতিনিধি বা যারা জনগণের প্রিয় নেতা তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরেই একটা নীল-নকশা এঁকেছে। এবং সেটা ওয়ান ইলেভেন থেকেই শুরু হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনে যেমন বিরাজনীতিকরণের একটি প্রচেষ্টা ছিলো তেমন এখানেও সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশনেত্রী এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছে তারা। জনগণ তাদের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেবে।
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতেই বিএনপি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে জানান ফখরুল।বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার অনুপযুক্ত, সেই যোগ্যতাই তাদের নেই। তারপরও এই নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য। একই সঙ্গে জনগণকে সংগঠিত করবার জন্য এবং তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে বলেছি, সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা নিতে বলেছি।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।