একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল গুলো সঙ্গে চলমান সংলাপের সমাপ্তিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হলো। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই সংলাপে অংশ নিয়েছে, এটা বিরল ঘটনা।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আগামীকালের (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনের স্থগিতের কারণ হিসেবে তিনি জানান, ‘নির্বাচন কমিশন শিডিউল ঘোষণা করবে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।’
বুধবার রাতে গণভবনে ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এর আগে সংলাপে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের কাছে সাত দফা তুলে ধরে নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ২৪ দল।
সংলাপে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার পক্ষে মত দেয় তারা। সংলাপ শেষে বের হয়ে নাজমুল হুদা বলেন: অনির্বাচিত সরকারের কোন দায়বদ্ধতা থাকে না। তাই নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হয়।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বুধবার সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলো হচ্ছে: জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ), বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ, বাংলাদেশ সমাজ উন্নয়ন পার্টি (বিএসডিপি), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্ট, ন্যাপ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ), যুক্তফ্রন্ট, গণফ্রন্ট ও প্রগতিশীল জোট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ), বাংলাদেশ সত্যব্রত আন্দোলন, ঐক্য ন্যাপ।
এছাড়াও রয়েছে: ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) এবং প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ঐক্য জোট, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ঐক্য জোট, তৃণমূল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি (জেএসপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।