বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মাহবুব) আহ্বায়ক আ ফ ম মাহবুবুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কানাডার একটি হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত এগারোটা সাত মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মস্তিষ্কে আঘাত পান। এরপর থেকে তিনি কানাডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আগামী শনিবার বাদ জোহর বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহাবুবুল হকের নামাজে জানাজা কানাডার অটোয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। তার ইচ্ছা অনুয়ায়ী অটোয়ায় তাকে সমাহিত করা হবে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আ ফ ম মাহবুবুল হক ১৯৬২ সালে স্কুল জীবনে শরীফ কমিশনের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৬৭-৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ’৬৯-৭০ সালে কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বি এল এফ’র অন্যতম প্রশিক্ষক ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ’৭৩-’৭৮ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৮-৮০ সালে ‘জাসদ’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ১৯৮০ সালের শেষের দিকে ‘বাসদের’ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।
আ ফ ম মাহবুবুল হক ১৯৮৩ সালে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হন। আপোসহীন এই নেতা ১৯৬৮ সালে প্রথম কারাবরণ করেন। ’৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত পুনরায় রাজবন্দি হিসেবে কারাগারে কাটান। ১৯৮৬ সালে আবার কারাবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে ঋণখেলাপী কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হন তিনি।
২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর ঢাকায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা তাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় ।