সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাওয়া জয় পাল্টে দিয়েছে গোটা বাংলাদেশ দলকে। প্রবল আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে দিল্লির মাঠের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। রাজকোটে টাইগাররা সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে বৃহস্পতিবার রাতটি টাইগারপ্রেমীদের জন্য হয়ে উঠতে পারে মহোৎসবের।
ভারতকে প্রথমবার টি-টুয়েন্টি সিরিজে হারানোর গৌরবে নাম লেখাতে শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই চলবে বাংলাদেশের। জয়টি যদি রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচেই চলে আসে তাহলে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা নাগপুর যেতে পারবেন হোয়াইটওয়াশের মিশন নিয়ে।
খেলোয়াড়রা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব। সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন মাঠের খেলায় দেখার অপেক্ষা এবার। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ব্যাট-বলের পরীক্ষা।
বাংলাদেশ জিততে পারলে সাফল্যের মুকুটে যোগ হবে নতুন পালক। বড় অর্জনের হাতছানি নিয়ে ভারত-বধে ঝাঁপিয়ে পড়বে টিম টাইগার্স। হেরে গেলে সুযোগ থাকবে শেষ ম্যাচে। তৃতীয় টি-টুয়েন্টির দিন বাংলাদেশ পূর্ণ করবে অভিষেক টেস্ট খেলার ১৯ বছর। ঐতিহাসিক একটা দিনেই পড়েছে ম্যাচটি। বাংলাদেশ দল নিশ্চিতভাবেই চাইবে তার আগে রাজকোটেই সিরিজ নিশ্চিত করতে। আর প্রথম টেস্ট খেলার ২০তম বছর শুরুর দিন টি-টুয়েন্টি সিরিজের ট্রফি মাথার উপর উঁচিয়ে ধরতে।
ওয়ানডে সিরিজে একবার ভারতকে (২-১) হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল ঘরের মাটিতে, ২০১৫ সালে। ভারতের মাটিতে ভারতকে ম্যাচে হারানোর অভিজ্ঞতা প্রথম হয়েছে চলতি সিরিজেই। যেকোনো মাঠেই তাদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি জয় প্রথম। টানা আট ম্যাচ হারের পর মুখোমুখি নবম দেখায় মিলেছে সাফল্য। দশম দেখায় যদি দ্বিতীয় জয়টি চলে আসে, তবে তো রাজকোটেই নির্ধারণ হয়ে যায় সিরিজের ভাগ্য।