চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই: গণপূর্ত মন্ত্রী

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন: আমরা রাজউককে জনবান্ধব, স্বচ্ছ, দীর্ঘসূত্রিতামুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারবো। রাজউককে আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা ভাবছি।

তিনি বলেন: এত বড় ঢাকায় একটি রাজউকে বসে সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজউকের সকল জোনকে শক্তিশালী করতে চাই। স্তরভিত্তিক পরিসর বাড়ার কারণে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন: প্রধানমন্ত্রীও বিবেন্দ্রীকরণের পক্ষে। এটা তিনি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। অদূর ভবিষ্যতে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে, যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অডিটোরিয়ামে রাজউক সেবা সপ্তাহ ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন: রাজউককে আমরা একটা ইমেজপূর্ণ জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। রাজউকের ভেতরে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিকভাবে কাজ করছে, কিন্তু একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য রাজউককে বদনামের বোঝা কাঁধে নিতে হয়।

তিনি বলেন: দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল থেকে শুরু করে সব নির্মাণ তখনই ঢাকা পড়ে যায় যখনই বালিশ কেলেঙ্কারির বোঝা আমাদের মাথায় নিতে হয়। যাদের ভুল আছে তাদের শোধরানোর জন্য বাবরবার বলছি। যে শুধরাবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে মন্ত্রণালয়, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে শুরু করে একটা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী অন্যায়ভাবে হয়রানি হোক এটা আমি চাই না।

মন্ত্রী বলেন: রাজউকের নব্বই শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সম্পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। বাকী ক্ষুদ্র অংশকে অনুরোধ করছি সবাই মিলে ভালো হয়ে যান। ভালো না হলে আপনাদের রাজউকে প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে। এত পরিশ্রমের রাজউক দু-একজনের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে, বদনাম কাঁধে নেবে, এটা হতে পারে না।

সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন: রাজউককে সাহায্য করুন। গতানুগতিকভাবে রাজউকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে যেভাবে কাজ করছেন, এটা প্রশংসার দাবী রাখে। রাজউক এর সেবাটাও দেখুন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা কাউকে ছাড় দিতে চাই না। দুর্নীতি কোনভাবে চলতে দেয়া যাবে না।

সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন: একটি রিপোর্ট করার আগে একটু খতিয়ে দেখুন, রাজউক তার নৈমিত্তিক কাজের বাইরে গিয়েও, গতানুগতিকতার বাইরে গিয়েও আগের চেয়ে গতিশীলীতা নিয়ে কাজ করছে কি না। কোন বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য এমনকি প্রয়োজনে আমাকে জিজ্ঞেস করুন। আমরা কৈফিয়ত দেবো। আমাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে প্রতিবেদন করলে ভালো হয়। আমি চাই না আমার বিরুদ্ধে, মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে, রাজউকের বিরুদ্ধে কেউ রিপোর্ট করবেন না। তবে এটা চাই রিপোর্টের সারবস্তু, তথ্য ও ভিত্তি যেন থাকে। অনিয়ম হলে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন, ব্যবস্থা নেবো।

রাজউক এর চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর।

এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমজাদ হোসেন খান।