রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে হত্যাকাণ্ডের পরদিনই জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিলাইছড়ির ফারুয়া এলাকার আলিক্ষিয়ংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনের কাজ শেষে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুয়ার আলিক্ষিয়ং এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা সুরেশ কান্তির বোট থামিয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার স্ত্রী এবং সন্তানও বোটে উপস্থিত ছিলেন। তারা অক্ষত আছেন।
সন্ত্রাসীরা সুরেশের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল জানিয়েছেন, ‘আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মরদেহ বর্তমানে উপজেলা সদরে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাঙ্গামাটি নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকায়।
এর আগে সোমবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে অন্তত ৭ জন নিহত হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২৫ জনের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে ৭ জনকে ঢাকা সিএমএইচে আনা হয়েছে।
ব্রাশফায়ারের ঘটনায় আহত আরও ১০ জন চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।