মনসুর আহম্মেদ, রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর গত তিন দিন ধরে কাপ্তাই রাঙামাটি নৌ-পথ চালু হওয়ায় এবং জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রাঙামাটির বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা তরকারি, সামুদ্রিক মাছ, মুদি দোকানের পণ্য সামগ্রী, জ্বালানি তেল সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বাজারে আসছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে পণ্যের কোন সংকট নেই দ্রব্যমূল্যও রয়েছে স্থিতিশীল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকা মনিটরিং করছে সমন্বয় কমিটি।
পাহাড় ধসের ঘটনার দু’দিন পরই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজার পরিস্থতি অস্থির করে তোলার চেষ্টা করলে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে বাজারে পণ্য সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে পণ্য পরিবহনের জন্য লঞ্চ সার্ভিস দিচ্ছে রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ থাকার পরও কেউ যদি বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাঙামাটির সাম্প্রতিক দুর্যোগ পরবর্তী বাজারের দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ৪ টি বাজার মনিটরিং সেল ও অভিযোগ কেন্দ্র গঠন করেছেেএছাড়া বাজারে ৩০ হাজার লিটার তেল ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। তেলের পাম্প সমূহে চলছে আরও তেল তেল সংগ্রহের প্রক্রিয়া।
এদিকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেনাবাহিনী ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ একযোগে সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।