ইংল্যান্ডকে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই ওপেনারকে একযোগে দল থেকে ছেঁটে ফেলা হল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে ইংলিশ দলে জায়গা হয়নি রয় ও বেয়ারস্টোর।
মূলত বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের সুবাদেই জেসন টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে অ্যাশেজ সিরিজে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বাদ পড়তে হল। ওপেনিং থেকে সরিয়ে টেস্ট দলের মিডলঅর্ডারেও যাচাই করা হয়েছিল রয়কে, চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেও ব্যর্থ হন তিনি।
অন্যদিকে, বেয়ারস্টো দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। ২০১৮’র শুরু থেকে দীর্ঘতম ফরম্যাটে তেমন একটা সাফল্য পাননি। গত বছরের শুরু থেকে এপর্যন্ত বেয়ারস্টোর টেস্ট গড় মাত্র ২৫.৯১। চলতি মৌসুমে ৬ টেস্টে কেবল ১টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। টেস্ট দলে জায়গা হারালেও অবশ্য টি-টুয়েন্টি দলে আছেন বেয়ারস্টো।
বেয়ারস্টোর অনুপস্থিতিতে টেস্টে ইংল্যান্ডের উইকেটকিপিং সামলাতে দেখা যাবে জস বাটলারকে। ব্যাকআপ উইকেটকিপার হিসেবে ওলি পোপকে টেস্ট দলে ডেকেছে নির্বাচকরা।
জেমস অ্যান্ডারসন ও মার্ক উডের চোট এখনো সেরে ওঠেনি। স্বাভাবিকভাবেই কিউইদের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে দুই পেসারকে নেয়া হয়নি। মঈন আলি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজেকে টেস্ট থেকে সরিয়ে নেয়ায় তার নামও বিবেচনা করা হয়নি।
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ডমিনিক সিবলি ও জ্যাক ক্রাউলি প্রথমবার ডাক পেয়েছেন সাদা পোশাকে। প্রথমবার টেস্ট দলে ঢুকেছেন ডানহাতি পেসার শাকিব মাহমুদ ও লেগস্পিনার ম্যাট পারকিনসন। মাহমুদ ও পারকিনসন টি-টুয়েন্টি দলেও জায়গা পেয়েছেন। ছোট ফরম্যাটে তাদের সঙ্গে দলে ঢুকেছেন টম ব্যান্টন ও প্যাট ব্রাউন।
ইংল্যান্ডের টেস্ট স্কোয়াড: জো রুট (অধি.), জফরা আর্চার, স্টুয়ার্ট ব্রড, ররি বার্নস, জস বাটলার (উইকেটকিপার), জ্যাক ক্রাউলি, স্যাম কারেন, জো ডেনলি, জ্যাক লিচ, সাকিব মাহমুদ, ম্যাট পারকিনসন, ওলি পোপ, ডমিনিক সিবলি, বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।
ইংল্যান্ডের টি-টুয়েন্টি স্কোয়াড: ইয়ন মরগান (অধি.), জনি বেয়ারস্টো (উইকেটকিপার), টম ব্যান্টন, স্যাম বিলিংস, প্যাট ব্রাউন, স্যাম কারেন, টম কারেন, জো ডেনলি, লুইস গ্রেগরি, ক্রিস জর্ডান, সাকিব মাহমুদ, ডেভিড মালান, ম্যাট পারকিনসন, আদিল রশিদ ও জেমস ভিন্স।