রমজান মাসে দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, বিদেশি গরুর মাংস ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সোমবার নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও মাংস ব্যবসায়ীদের এক যৌথ সভায় এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু, মহাসচিব রবিউল আলম।
গরুর মাংসের পাশাপাশি খাসির মাংসের কেজি ৭২০ টাকা, ভেড়ার মাংস ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর তিন প্রকারের গরুর মাংসের দাম ছিল যথাক্রমে ৪৭৫ টাকা, ৪৪০ টাকা ও ৪৪০ টাকা কেজি প্রতি। সেক্ষেত্রে এবার কেজি প্রতি গরুর মাংসের দাম ২৫ থেকে ২০ টাকা কমানো হয়েছে।
দেশের সুপার শপগুলোতেও একই দামে মাংস বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে ডিএসসিসি।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, নির্ধারিত এই দর সর্বোচ্চ দাম হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনও ব্যবসায়ি এই দাম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায়িদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, মাংসের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখবেন। মাংসের গুণগত মান ঠিক রাখবেন এবং ওজনে কম দেবেন না।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্তমানে ভালো মানের জবাইখানা নেই। তাই আধুনিক জবাই খানা তৈরি করা দরকার। তাহলে আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই হবে না।
একটি চক্র গরু হাঁটে চাঁদাবাজি করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, গাবতলী গরুর হাটে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়। গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে অন্তত এক হাজার অভিযোগপত্র দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এসময় রবিউল ডিএসসিসি এলাকায় একটি স্থায়ী কোরবানির হাট স্থাপনের দাবি জানান।
তবে মাংস ও গরুর হাট নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে মঙ্গলবার ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান রবিউল ইসলাম।