সাহিত্য, শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন মহাকালের শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নেও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তার এসব স্মরণীয় অবদানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানাতে এবার সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে হচ্ছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’-আইনের খসড়া মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদনের পর আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই সংসদে পাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। রবীন্দ্র ভাবনার পাশাপাশি জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংমিশ্রনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গড়ে ওঠবে আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ব কবির ১৫৪ তম জন্ম বার্ষিকীতে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, আইন পাস হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হবে, যথারীতি চলবে অন্যান্য কাজও।
শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, আইনের খসড়ায় তারা ৩ দিকে জোর দিয়েছেন। শিল্প-সাহিত্য, কৃষি ও ইঞ্জিনিয়ারিং। সেখানে শিক্ষকদের পরিমাণ বেশি থাকবে। মহামান্য চ্যান্সেলরের অনুমোদন ছাড়া কোনোভাবেই অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন করা যাবেনা। আগামী সোমবার এই আইনের বিষয়ে একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উপজীব্য করে একটি বড় পরিকল্পনা তারা করছেন। এই পরিকল্পনাটি বাংলাদেশ বিশেষ করে শাহাজদপুরের প্রকৃতির সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে তারা বাস্তবায়ন করবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রবীন্দ্রনাথের মনের বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে একবিংশ শতাব্দীর একটি ভাব ফুটিয়ে তোলা হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শাহজাদপুরের এককালের জমিদার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব জমি করতোয়া নদীর তীরেই গড়ে উঠবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
আগামী বাজেটেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব।