প্রায় নয় বছর পর আবারও পেসার খুঁজতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। রবি আজিয়াটা’র সহায়তায় ১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ কার্যক্রম। চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। নারী পেসারদের জন্যও থাকছে সমান সুযোগ। চূড়ান্ত ১২ জন খেলবেন জাতীয় পর্যায়ে।
রবি ফাস্ট বোলার হান্টের বয়সসীমা নির্ধারণ করা করা হয়েছে ১৬ থেকে ২৩। দু’সপ্তাহের কার্যক্রমে দেশের ১৬টি স্থানে ৩৫ হাজার ফাস্ট বোলার আবেদন করলেও প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৭ হাজার প্রতিযোগি যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। চূড়ান্ত বাছাই শুরু ১৭ জানুয়ারি।
দ্রুতগতির বোলাররা ঘন ঘন ইনজ্যুরিতে পড়েন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ফাস্ট বোলার সংগ্রহে বিসিবি আর টেলিকম কোম্পানি ‘রবি আজিয়াটা’র যৌথ উদ্যোগ- ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’।
রাজধানীর মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ অপারেসন্স অফিসার মাহতাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফাস্ট বোলিং বেশ কঠিন, কিন্তু জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেটে এর অন্যরকম একটা আকর্ষণ আছে।বিশ্ব ক্রিকেট দরবারে বাংলাদেশের নাম আরো উজ্জ্বল করে তুলতে এ পদক্ষেপটি অনন্য ভূমিকা পালন করবে।
২০০৫ ও ২০০৭ সালের পেসার হান্ট এর অর্জন জাতীয় দলের রুবেল ও শফিউল। তবে এবার নারী পেসারদের জন্যেও সুযোগ উন্মুক্ত।
ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ক্রিকেট জগতে অন্যতম শীর্ষ হয়ে থাকতে হলে মানসম্মত ফাস্ট বোলার তৈরি করতে হবে। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আগামী দিনের মাশরাফি রুবেল মুস্তাফিজ ও তাসকিনদের খোঁজার চেষ্টা করছি।
এরই মধ্যে ১৬টি স্টেডিয়ামে প্রচুর উইকেট তৈরি করা হয়েছে। স্পিড, স্কিল আর মেডিকেল টেস্ট শেষে চূড়ান্ত বাছাই পর্বের জন্য ৬৪ জনকে হাই পারফরমেন্স ক্যাম্পে ট্রেনিং দেয়া হবে। যাচাই-বাছাই শেষে দশজন পুরুষ এবং দুই জন নারী পেসারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।