বিশ্ববাজারে দেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে রপ্তানি পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজস্ব ব্র্যান্ড সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তুলছে সরকার।
শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর পূর্বাচলে মাসব্যাপী ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন: বৈশ্বিক খাদ্য ঘাটতির কথা মাথায় রেখে কৃষি ও খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
এ বছর আইসিটি পণ্য ও সেবাকে বর্ষ সেরা পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।
রাজধানীর পূর্বাচলে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নামের স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র। ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭ মিনি প্যাভিলিয়ন আর ১৭৫টি স্টল নিয়ে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হচ্ছে নতুন এই ভেন্যুতে।
করোনার কারণে ২০২১ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এ বছব বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে ।
এবার প্রথম মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে ৩০টি বিআরটিসি বাস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসব্যাপী সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াত করবে বাসগুলো। এসব বাসে ন্যুনতম ২৫ টাকা ভাড়ায় দর্শনার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলে স্টল থাকবে। এতে করে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টলসহ ৩২টি ক্যাটাগরি রয়েছে।মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবে।
এবারের মেলায় প্রাণ-আরএফএল,যমুনা, আবুল খায়ের, এ্যাপেক্সসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠান স্টল বরাদ্দ নিয়েছে। এছাড়া ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, চীনসহ ৮ দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।