চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রপ্তানি আয়ে হোঁচট

চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) হোচঁট খেয়েছে রপ্তানি আয়। এই সময় রপ্তানি আয় হয়েছে ৯৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ কম। ওই সময় রপ্তানি আয় হয়েছিল ৯৯৪ কোটি ৬ লাখ ডলার।

রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পণ্য রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৩ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার কোটি ৮৪ লাখ ডলার। কিন্তু এ সময়ে আয় হয়েছে ৯৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক শতাংশ কম।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও গত ২ মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ধারাবাহিকভাবে অবনতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় আগস্ট মাসে প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ১১ শতাংশ। আর এ সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি আয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, আগস্টে হয়েছিল ২৮৪ কোটি ৪৩ লাখ ডলার আর সেপ্টেম্বরে হয়েছে ২৯১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। যেখানে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

তবে রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই এসেছে পোশাক খাত থেকে। ৩ মাসে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৮০৬ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।

পোশাক খাত থেকে আয় কমে যাওয়ার কারণে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়ে। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য ও হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয়ও কমেছে।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৫ দশমিক ৪৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫ শতাংশ কম। পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২২ কোটি ডলারের কিছু বেশি। যা আগের বছরের ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ডলার। এখাতে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ।