কথায় আছে, যা ঘটে তা কিছুটা হলেও রটে। বেশ কিছুদিন ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে অবশেষে বলিউডের লাভবার্ড রণবীর কাপুর ও ক্যাটরিনা কাইফ সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। খবরে এও প্রকাশ হয়েছে তাদের বিচ্ছেদে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্যাটরিনার সাবেক প্রেমিক সালমান খান।
বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যাটরিনা ও সালমানের দীর্ঘদিনের দুরত্ব বন্ধুত্বের দিকে যাচ্ছে। একসঙ্গে দু’জনকে আবার দেখা যাচ্ছে। রণবীরের সাথে বিচ্ছেদের খবর যখন ভারতীয় মাসালা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, ঠিক তখনই গভীর রাতে একই পার্টিতে দেখা গেছে সাল্লু-ক্যাটকে। ক্যাটরিনার খুব কাছের বন্ধু আলী আব্বাস জাফরের জন্মদিনে পাপ্পারাজিদের ক্যামেরায় বন্দী হয়েছেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা। আর সেই জন্মদিনে সাল্লু ভাইয়ের সঙ্গে নাকি একান্তে আলোচনায় বসেছিলেন ‘ধুম থ্রি’ খ্যাত ক্যাট।
শুধু সালমান নয় সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাজরাঙ্গি ভাইজান’র পরিচালক ও সালমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কবির খান। গভীর রাতে সালমানের সঙ্গে আলোচনার খবরে অনেকে খুঁজে পাচ্ছেন প্রেমিক রণবীর কাপুরের সঙ্গে সর্ম্পকে ইতি টানার যোগসূত্র। কারণ হিসেবে অভিযুক্ত হচ্ছেন দাবাং খান।
প্রেম এবং সর্ম্পকে ইতি বিষয়ে এখন পর্যন্ত গণমাধ্যমে মুখ খোলেননি ‘রকস্টার’ রণবীর কাপুর। ‘জাগ্গা জাসুস’র পরিচালক আনুরাগ বাসু আগেই তাদের ব্যাপারে বলেছেন, ক্যাটরিনা আর রণবীরকে নিয়ে ছবি করা বেশ অসুবিধা। তখন অবশ্য কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, রণবীর-ক্যাটরিনা বলে নয়। যে কোনও লাভ বার্ডসকে নিয়ে ছবি করতে গেলেই সমস্যায় পড়তে হয়।
তবে বলিউডের একাংশের ধারণা রণবীর- ক্যাটরিনার বিচ্ছেদের কারণ দিপীকা পাডুকোন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া রণবীর-দীপিকার ‘তামাশা’ছবি রিলিজের আগে ও পরের তাদের অস্বাভাবিক আচরণ-তামাশায় নাকি কষ্ট পেয়েছেন ক্যাটরিনা। সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে রণবীরের নতুন করে ঘনিষ্ঠতা মোটেই ভালো লাগেনি ক্যাটরিনার। আর সেকারণেই রণবীর’র সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন। অন্যদিকে আরেক কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রণবীরের বাবা ঋষি কাপুর ও মা নিতু কাপুর কেউই বউ হিসেবে ক্যাটকে মেনে নিতে পারছে না। এটাও ক্যাটকে ব্যাথা দিয়েছে।
যদিও এই বিচ্ছেদ অভিজ্ঞতা দু’জনের কাছেই নতুন নয়। রণবীর এর আগেই বিচ্ছেদের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন দীপিকার সঙ্গে তার সম্পর্কে। ক্যাটেরও এর আগে সালমানের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে। কিন্তু সে সব ধাক্কা সামলে উঠেছিলেন দু’জনেই। তবে বিষয়টি পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত ভক্তদের অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।