সাদা পোশাক ছেড়ে রঙিন পোশাক গায়ে চড়াতেই দেখা মিলল অন্য এক পাকিস্তানের। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডেতে দাপুটে জয় পেয়েছে দলটি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে কোনও সুযোগ না দিয়ে ম্যাচ জিতেছে ৮৩ রানে।
২৯৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভাল শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের চতুর্থ ওভার আর দলীয় ৩০ রানের সময় ব্যক্তিগত ১৯ রানে পেসার রুম্মান রইসের বলে উইকেটকিপারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিরোসান ডিকেভেল্লা। মাত্র ৪ রান যোগ করে রইসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন দিনেশ চান্দিমাল।
এরপরই আর ছন্দে ফিরতে পারেনি লঙ্কানরা। দলীয় ৫৫ রানে অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গাকে (১৮) বোল্ড করেন হাফিজ। ৬৭ রানের সময় কুশল মেন্ডিস এবং মিলিন্ডা সিরিবর্ধনেকে ফেরান হাসান আলী।
লাহিরু থিরিমান্নে এবং থিসারা পেরেরার ৪১ রানে জুটি কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ১০৮ রানের সময় পেরেরাকে (২১) ফিরিয়ে সে পথও রুদ্ধ করে দেন শাদাব খান। এরপর আকিলা ধনঞ্জয়া এবং জেফরি ভ্যান্ডারসের ৬৪ রানে জুটি কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা সংগ্রহ করে ২০৯ রান।
পাকিস্তানের হয়ে রইস ও হাসান নেন তিনটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট যায় হাফিজ ও শাদাবের খাতায়।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। ১২ বল মোকাবেলা করে হিসাবের খাতা খোলার আগেই লাহিরু গামাগের বলে ফেরেন শেহজাদ।
সেখান থেকে বাবর আজমের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি বেধে প্রাথমিক চাপ সামাল দেন ফখর জামান। ৪৩ রানে আকিলা ধনঞ্জয়ের বলে বোল্ড হন ফখর।
চতুর্থ উইকেটে নেমে হাফিজ করেন ৩২। শোয়েব মালিক ৬১ বলে ৮১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরে ফিরে যান লাকমলের বলে। তবে একপাশ আগলে বাবর আজম দেখিয়েছেন ধৈর্য। হিসেবি ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। যদিও এটি তার ধীরতম শতক এবং পাকিস্তানের হয়ে গত পাঁচ বছরে কোনও ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করতে এতো বেশি বল খেলেননি।। ১২৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ১০৩ রানে লাকমলের বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর।
এক রানে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ আউট হয়ে যাওয়ার পর ইমাদ ওয়াসিমের ৫ বলে ১০ এবং হাসান আলীর ৫ বলে ১১ রানে ২৯২তে থামে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২৯২/৬ (বাবর ১০৩, শোয়েব মালিক ৮১; সুরঙ্গা লাকমল ৪৭/২)
শ্রীলঙ্কা: ২০৯/৮ (থিরিমান্নে ৫৩, ধনঞ্জয়া ৫০; রইস ৪৯/৩, হাসান আলী ৩৬/৩)।
পাকিস্তান ৮৩ রানে জয়ী