প্রতিপক্ষ নিজেদের জালেই গোল দিয়ে বসার পর জেগেছিল ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা। সেই ব্যবধানটাও ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অতি রক্ষণাত্মক হতে গিয়ে মালদ্বীপের কাছে পয়েন্ট খুইয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল।
১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জেমি ডের দল। এই ড্রয়ে ফাইনালে ওঠার পথ কঠিন হয়ে গেল জামাল ভূঁইয়াদের জন্য।
সোমবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচ হল ড্র। ফাইনালের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে শেষ দুই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই লাল-সবুজদের।
সেই দুই ম্যাচের একটি আবার স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে খেলার ২০ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। রবিউল ইসলামের থ্রো ডি-বক্সে পড়লে বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন মালদ্বীপ গোলরক্ষক। বল গিয়ে লাগে বারে। সেখান থেকে নাবীব নেওয়াজ জীবন আলতো ছোঁয়ায় গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
অবশ্য ১০ মিনিট বাদেই মালদ্বীপ খেলোয়াড়দের কল্যাণে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বামপ্রান্ত ধরে আবারও রবিউলের লম্বা থ্রোতে হেড করেছিলেন রিয়াদুল ইসলাম রাফি। তার হেড ঝাঁপিয়ে পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক। সেই পাঞ্চে বল জামালদের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানির গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
এগিয়ে থাকায় পরের অর্ধে রক্ষণ খোলসে ঢুকে যায় বাংলাদেশ। তাতেই জামাল ভূঁইয়াদের পেয়ে বসে মালদ্বীপের আক্রমণ। গোলবারের নিচে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে অন্তত দুই গোল পেতে পারতো মালদ্বীপ!
তাতেও রক্ষা হয়নি। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে ডানপ্রান্তের দুরূহ কোণ দিয়ে ডানপায়ের শটে সমতা ফেরান মালদ্বীপ উইঙ্গার ইব্রাহিম হোসেন।
৮০ মিনিটে এসেছিল ব্যবধান গড়ার সুযোগ। ডি-বক্সে টুটুল হোসেন বাদশার হেড মালদ্বীপ গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলে তিন পয়েন্ট পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।