বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিতে জড়িত থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। শান্তিরক্ষীদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন তুলে ধরে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগেই গত সপ্তাহে তা ফাঁস হয়ে যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,শা ন্তিরক্ষীরা অর্থ, পোশাক, গহনা, সুগন্ধি এবং মোবাইল ফোনের বিনিময়ে স্থানীয়দের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন।
জাতিসংঘের অফিস অব ইন্টারনাল ওভারসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, হাইতি এবং সাউথ সুদানে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ৪৮০ টিরও বেশি যৌন নিপীড়ন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু হাইতি মিশনেই কমপক্ষে ২২৯ জন নারীকে খাদ্য ও চিকিৎসার জন্য শান্তিরক্ষীদের সাথে যৌনকর্মে লিপ্ত হতে হয়েছিলো।
শান্তিরক্ষীদের কাছে খাবার চাইতে এসে ১০ বছর আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া হাইতির এক নারীর ভাষ্য অনুযায়ী, শান্তিরক্ষী ক্যাম্পে খাবার নিতে আসা অন্যান্য শিশুদের সাথে তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেসময় এক সেনা সদস্য তাকে ডেকে নেয়। খাবার খেতে দেবে এই আশায় তিনি সাড়া দিলে তাকে জোর করে ক্যাম্পের ভেতরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে ওই সৈনিক।
শান্তি মিশনে এধরনের ঘটনার জন্য জবাবদিহিতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্বজুড়ে ১৬টি মিশনে জাতিসংঘের দেড় লাখেরও বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন।