দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রুটের শিক্ষার্থীবাহী বাস রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে যাওয়ার প্রবণতার ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি, দুর্ঘটনা, এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে এর বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হলেও সেই প্রবণতা রয়ে গেছে এখনো।
রাস্তার রং সাইড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালানোর ফলে আরও একটি দুর্ঘটনা এবং সাধারণ মানুষের ক্ষোভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংবাদিক হিশাম খান সেতু। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
‘‘আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস, আবারও রং সাইড , আবারও দুর্ঘটনা!
তবে এবার মানুষ মারেনি। দুটি মোটর সাইকেল আর দুটি বাইসাইকেল পিষে দিয়েছে। একজন বাইকারকে দেখলাম ভীষণ কাতরাচ্ছে, সম্ভবত তার পা দু’খানা মারাত্মক ইনজুর্ড। একজন নারী চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, দেখেন ছাত্ররা কী করেছে। আরও কয়েকজন আরও দূরে জটলার মধ্যে পরে আছে। তারা বেঁচে আছে কিনা জানিনা। ঢাবি’র এই ঘাতক বাসটির নাম বৈশাখী, দুর্ঘটনাটি আজ সকাল ৯টার দিকে ঘটেছে।
একই অবস্থা আমারও হতে পারত। আমি ‘পাঠাও’ সার্ভিসের বাইকে ওই একই পথ ধরে আসছিলাম। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে বিজয় সরণি যাওয়ার রাস্তায় ছাত্রগুলো বাস থেকে নেমে দু’পাশের রাস্তা বন্ধ করে বেশ এগ্রেসিভভাবে তাদের বহনকারী বাসটাকে রং সাইড দিয়ে ঢুকিয়ে দিলো।
আর তার কয়েক মিনিট পর এই মারাত্মক দুর্ঘটনা!!! এমনিতেই মেট্রো রেলের জন্য রাস্তা কাটা আর বৃষ্টির কারণে আজ তীব্র ট্রাফিক জ্যাম! তার উপর তাহাদের এই ভি.আই.পি স্বেচ্ছাচারিতা। গত বছর ঠিক এভাবেই ঢাবি’র আরেকটা বাস একজন মানুষ মেরেছিল রং সাইড দিয়ে চালিয়ে দিয়ে।
হায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হায় ছাত্র সমাজ! আপনাদের আচরণ দেখে আজ সবাই আপনাদের সন্ত্রাসী বলছিল, গালি দিচ্ছিল… আপনাদের কানে হয়তো পৌঁছায় নাই।
অবশ্য আপনাদের দোষ দিয়ে কী লাভ। এই দেশে আইন প্রণেতা আর প্রশাসনের সবাই এই ভি.আই.পি সুবিধা নেয়। স্বেচ্ছাচারিতা আমাদের কী ভয়াবহ ভাবে গ্রাস করছে তা কি আমরা বুঝতে পারছি?’’