স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে পাটের ছালকরণ ও পচানো প্রযুক্তি রংপুরের কৃষকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। সোনালী আঁশের সোনালী
দিন ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এ প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার দাবি কৃষকের।
দেশের অন্যতম অর্থকরি ফসল পাট উত্তরাঞ্চলে অধিক পরিমাণ উৎপাদন হলেও, প্রতি
বছর অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড তাপদাহে পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষক। ঠিকমত
জাগ দিতে না পারায় পাটের মান কমে যায়।
এতে বাজারে দাম না পেয়ে কৃষক নিরুৎসাহিত হন পাট উৎপাদনে। এসব সমস্যা সমাধানেই সয়ংক্রিয় যন্ত্র এনেছে পাট গবেষণা কেন্দ্র।
উন্নত এ যন্ত্র ব্যবহারে কৃষক কম সময়ে, স্বল্প খরচে, মানসম্মত পাটের আঁশ ঘরে তুলতে পারছেন। তারা জানান, পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর এই পদ্ধতিতে তাদের শ্রমিক ও মজুরি দু’টোই কম লাগবে।
এ যন্ত্রের সাহায্যে ৮ ঘণ্টায় এক বিঘা জমির পাটের ছাল ছাড়ানো সম্ভব। এতে পাটের মানও থাকছে ভালো। প্রযু্িক্ত ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটসহ আঞ্চলিক এবং উপকেন্দ্রসমূহ।
রংপুর পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবুল ফজল মোল্লা জানান, এককভাবে সম্ভব না হওয়ায় সমবায়ের ভিত্তিতে যদি যন্ত্রটি কিনে ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে কৃষকরা লাভবান হবে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের কৃষি বিভাগের পরিচালক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পানি স্বল্পতার জন্য পাট পচাতে সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা দূর করতেই উদ্ভাবন করা হয়েছে এই প্রযুক্তির।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পাট চাষে আরেকধাপ উৎসাহিত হচ্ছেন কৃষক। যা দেশের পাট শিল্পের জন্য হতে পারে এক শুভবার্তা।