রংপুরে তিস্তার বালু চরে নতুন করে সম্প্রসারিত হয়েছে তামাকের আবাদ। উপকরণ সহায়তাসহ নানা প্রলোভনে অনেক কৃষক ঝুঁকেছেন তামাক চাষে। নিরুৎসাহিত করেও সফল হতে পারছে না কৃষি বিভাগ।
জেগে উঠেছে তিস্তার নতুন বালুচর। নদীপাড়ের কৃষক উপকরণ আর নানা সুবিধার আশা পেয়ে শুরু করেছেন তামাকের চাষ। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার তামাকের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। সুযোগ সুবিধা না পেয়েই লাভজনক খাদ্যশস্য আবাদে যেতে পারছে না কৃষক।
স্থানীয় এক কৃষক জানান, সরকার যদি আমাদের ভালো ফসল আবাদ করতে দেয় তবে তামাক চাষ বাদ দেবো।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় চরের কিছু জমিতে অন্য ফসল চাষাবাদ হলেও অধিকাংশ কৃষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তামাক চাষের ক্ষতি সম্পর্কে অবগত হলেও বিকল্প না পেয়েই এর চাষেই ঝুঁকছেন বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
মাঠ পর্যায়ে কৃষককে তামাক চাষ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে কৃষি বিভাগ।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স.ম আশরাফ আলী বলেন, আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের তামাক চাষ না করার জন্য উৎসাহিত করতেছি। তাদেরকে বিকল্প কোন ফসল চাষ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।