রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানায়।
এ সময় বক্তারা বলেন: পিতা-মাতার পরেই আমরা শিক্ষকদের কাছে নিজেদের নিরাপদ মনে করি। তাদের কাছ থেকেই আমাদের বাকি শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করি। কিন্তু আমরা সেই শিক্ষক দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছি। তাহলে আমরা নিরাপদ কোথায়? আমরা এই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।
বক্তারা আরও বলেন: আমরা লক্ষ্য করছি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে কেউ মুখ খুলতে পারছে না জীবনের ভয়ে। যৌন হয়রানির শিকার ওই দুই ছাত্রী আজ ভয়ে হল থেকে বের হতে পারছে না। আমাদের এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে কেউ এমন কাজ করার দুঃসাহস না দেখায়।
মানববন্ধনে ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খুর্শিদ রাজীবের সঞ্চালনায় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শর্মিলা মন্ডল, আতিক, নুর মোহাম্মদ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ ঢালি, তানিয়া সরকার ও আতিফা হক শোমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করেন চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
পরে ওই দিনই দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আইইআরের পরিচালকের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাকে উত্ত্যক্তের মৌখিক অভিযোগ করেন। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাকযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইইআর পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইইআরে এক জরুরি সভায় বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।