মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। যৌতুক মামলার খবর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পরও কেন মামলা তা নিয়ে অবাক তিনি।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সৈকত বলেন, ‘আমি শুনেছি মামলা হয়েছে। যতটা জানি আমার স্ত্রী ও তার পরিবার আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে কোর্টে। আমি একটু অবাক হয়েছি যে ডিভোর্স হওয়ার পরও কেন তারা এ মামলা করছে তা নিয়ে। কারণ আমি তো কাবিননামা অনুসারে আমার স্ত্রীকে ভরণপোষণের সব টাকা দিতে রাজি আছি। আরেকটি বিষয় হল আমার যে অর্থিক অবস্থা তাতে করে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করি এটি আমাকে হয়রানি করার জন্যই এই মামলা।’
রোববার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আপিল আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সৈকত ও তার মা হোসনে আরা বেগমকে আসামী করা হয়েছে।
২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর কিশোর বয়সে আপন খালাতো বোন সামিয়াকে বিয়ে করেন সৈকত। প্রেমের সম্পর্কের পর দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে সবার উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তবে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে দু’জনের বনিবনা না হওয়াতে গত ১৬ আগষ্ট তাদের ডিভোর্স হয়। সৈকতের দাবি, ডিভোর্সের পরও সামিয়া ও তার পরিবার উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে এ মামলাটি করেছে।
‘দেখেন আমি দরিদ্র নই। আমার পক্ষে যৌতুক চাওয়া সম্ভব নয়। আর আমাদের তো ডিভোর্সও হয়ে গেছে। আমিতো কখনো বলিনি যে তাকে প্রাপ্য টাকা দেব না। এরপরও যেহেতু মামলা হয়েছে তাই বলতে হচ্ছে এটির পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য আছে। আর সেটি কি আমি সঠিক বুঝতে পারছিনা। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও আমার সম্মান নষ্ট করতেই এমনটি করছে আমার স্ত্রীর পরিবার।’-বলেন সৈকত।
তবে সামিয়া শারমিন অভিযোগ করেন মূলত ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি, শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন ও বিয়ের ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সঠিকভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি সৈকত। এমনকি ডিভোর্সের কোনো চিঠিও পাননি বলে দাবি তার।