জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন চার নতুন মুখ। সাকিব আল হাসান না থাকায় বাঁহাতি স্পিনে ঢুকেছেন ওয়ানডে দলে নিয়মিত হওয়া নাজমুল ইসলাম অপু। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফর্মে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনের অন্তর্ভুক্তিও অনুমেয় ছিল। তবে চমক হিসেবে টেস্ট দলে আসা দুটি নাম খালেদ আহমেদ ও আরিফুল হক।
কেন তারা বিবেচনায় এলেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গতি বেশি থাকায় খালেদকে নেয়া হয়েছে। আর লোয়ার অর্ডারে দ্রুত রান তোলার সক্ষমতার পাশাপাশি পেস বোলিং করতে পারায় অলরাউন্ডার হিসেবে এসেছেন আরিফুল।
‘এখন যেসব বোলার এইচপিতে আছে বা জাতীয় দলের পুলে আছে তার মধ্যে ওর (খালেদ) গতিটা বেশি আছে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ফাস্ট বোলিংয়ের যে ব্যাকআপ চেয়েছিলাম সেটি পেয়েছি। পেস আক্রমণে ফ্রন্টলাইনে থেকে ভাল একটা সার্ভিস দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
আরিফুলকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘দেশের মাটিতে কিছু ব্যাটসম্যানকে লেট অর্ডারে দরকার হয়, যারা দ্রুত রান তুলতে পারে। কারণ একটু মন্থর উইকেটে যখন খেলা হয় তখন এ ধরণের খেলোয়াড়কে দরকার, সেই চিন্তা করে ওকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
মিনহাজুল আবেদিন মনে করেন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আরিফুলের মিডিয়াম পেস বোলিংও কাজে আসবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে, ‘নতুন বলে জাতীয় লিগে আরিফুল বোলিং করেছে। শেষ ম্যাচ দেখে বুঝেছি তার সক্ষমতা আছে। থার্ড সিমার হিসেবে কাজে লাগতে পারে।’
২৫ বছর বয়সী আরিফুল ৭৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৪০৫ রান। ৮টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দ্বিগুণ হাফ সেঞ্চুরি (১৬টি) এসেছে তার ব্যাটে।
২৬ বছরের ডানহাতি পেসার খালেদ ২০ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট। বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সিলেটের এই পেসার দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট দশ উইকেট নেন।
৩-৭ নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে ১১-১৫ নভেম্বর।