আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। টাইগারদের ঘায়েল করতে ওই অস্ত্রটাই ব্যবহার করতে চাইবে আফগানরা। বাংলাদেশও ভরসা রাখছে স্পিনে। ১৫ সদস্যের দলে দুই বাঁহাতি স্পিনার ও অফস্পিনার। ব্যথার কারণে মিরাজের যদি খেলতে সমস্য হয়, সেজন্য বিকল্প হিসেবে মোসাদ্দেককে দলে ফিরিয়েছেন নির্বাচকরা।
কাঁধের ব্যথা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তবুও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দলে রাখা হয়েছে এ অফস্পিনারকে। আফগান স্পিনের মোক্ষম জবাবের জন্যই মিরাজের সঙ্গে মোসাদ্দেককে দলে রাখা হয়েছে।
মোসাদ্দেক সবশেষ টি-টুয়েন্টি খেলেছেন গত বছরের এপ্রিলে, শ্রীলঙ্কা সফরে। এ তরুণকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বললেন, ‘অলরাউন্ডারের চিন্তা থেকেই মোসাদ্দেককে সুযোগ দেয়া হয়েছে। কারণ মিরাজের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে আমাদের। এখন পর্যন্ত যতখানি আছে, শতভাগ ফিট নয়। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সেজন্য মিরাজের ব্যাকআপ হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেনকে সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
চোখে ইনফেকশনের কারণে মোসাদ্দেক জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন লম্বা সময়। সুস্থ হয়ে ফিরলেও দলে জায়গা হচ্ছিল না। বলা হচ্ছিল, ফিটনেসের ঘাটতি ও পারফরম্যান্সে কিছু ছন্দপতনের কথা। মোসাদ্দেক নিজেকে প্রমাণ করেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিসিএলে। ঢাকা লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচে শেষের দিকে নেমে ব্যাটে ঝড় তোলেন। বিসিএলের শেষ রাউন্ডে আটে নেমে করেন ঝড়ো সেঞ্চুরিও।
সামর্থের জানান আগেই দেয়া মোসাদ্দেক ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে নতুনভাবে প্রমাণ করার পরও বাদ পড়েন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। চুক্তিতে কারা থাকবেন আর কারা থাকবেন না সে ব্যাপারে সুপারিশ থাকে নির্বাচকদের। মোসাদ্দেককে চুক্তি থেকে বাদ দেয়া এবং দলে ফেরানো, দুটিকে এক করতে চাইলেন না মিনহাজুল।
‘ওটা (কেন্দ্রীয় চুক্তি) অন্য জিনিস। আমরা মনে করছি টি-টুয়েন্টিতে বোলিং করার যথেষ্ট স্কিল আছে মোসাদ্দেকের। ও যথেষ্ট ট্যালেন্ট আমরা জানি। মাঝখানে একটু ছন্দপতন হয়েছিল। এই মুহূর্তে ফিটনেসসহ যাবতীয় বিষয়গুলো দেখে এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে আমরা তাকে নির্বাচন করেছি।’