যে পথে ঘাতকের ট্যাঙ্ক গিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল, সেই পথে ‘আলোর মিছিল’ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। জাতীয় শোক দিবসে সোমবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে এই আলোর মিছিল শুরু হয়। পরে ধানমন্ডি ২৭ নাম্বার হয়ে ৩২ নাম্বার গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মিয়া প্রমুখ।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সজাগ থাকতে হবে। ষোড়শ সংশোধনীর রায়কে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও বিএনপির বন্ধুরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে। খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্য গিয়ে ষড়যন্ত্র করা মূলত নির্বাচনে না আসার পাঁয়তারা। দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ভিশন ২০৪১ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জাতির অগ্রযাত্রা রুখতে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা জাতির পিতাকে ১৫ আগস্ট হত্যা করে। দিনটি এলে আমরা শোকে মুহ্যমান হয়ে যাই। এখন আমরা সতর্ক। দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র শক্তহাতে মোকাবিলা করা হবে।’
মিছিল শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংঠনের নেতারা। এসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেন।