পারিবারিক নির্যাতনকে ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করে পাকিস্তানের অর্ধেকেরও বেশি কিশোরী। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দেশটির উঠতি বয়সীদের মধ্যে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির তুলে ধরা হয়েছে। এতোটা ভয়াবহ না হলেও কম্বোডিয়া, ভারত, বাংলাদেশ এবং নেপালেও প্রায় একই চিত্র পেয়েছে জাতিসংঘ।
‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উঠতি বয়সীদের যৌনতা এবং প্রজনন স্বাস্থ্য’ শিরোনামে ইউনাউটেড নেশন্স পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) এর প্রস্তুত করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইউএনএফপিএ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সহবাসে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে স্বামীতো মারবেই। পাকিস্তানের পাকিস্তানের ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের মধ্যে ৫১ শতাংশ মনে করেন এরকমই করা উচিৎ!
অথচ এই মতপোষণ করা কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই কোনো না কোনো ভাবে শারীরিক-যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
অশিক্ষা-অল্পশিক্ষা, বেকারত্ব এবং পরিবারে নির্যাতনের সংস্কৃতিকে পারিবারিক নির্যাতন মেনে নেয়ার পেছনের কারণ বলে মনে করে জাতিসংঘ। এইসব কারণে পাকিস্তানের কিশোর-কিশোরীদের কাছে যৌন ও পারিবারিক নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
ইউএনএফপিএ’র হিসাবে দেশটিতে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের একটি বড় অংশই এইচআইভি (এইডস ভাইরাস) ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কট্টর মৌলবাদী অধ্যুষিত দেশটিতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ন্যূনতম ধারণার অভাবও প্রকট। ১৫-২৮ বছর বয়সী পাকিস্তানি পুরুষদের ২৮ শতাংশ এবং নারীদের অর্ধেকেরও বেশি জানেই না কনডম এইচআইভি থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে পারে।