অধিনায়কত্বকে বিদায় বলে দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এখন বিসিবির পালা ওয়ানডের জন্য তার যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে নেয়া। কার হাতে থাকবে মাশরাফী পরবর্তী সময়ে টাইগারদের ওয়ানডে দলের হাল, দ্রুতই সেই সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। কাজটা খানিকটা সহজ করে দিয়েছেন ম্যাশ নিজেই। বিদায়বেলায় ইঙ্গিত দিয়েছেন তার রেখে যাওয়া চেয়ারে তিনজনের একজনকে বসালে ভালো করবে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পেলেও তা উপভোগ করার সুযোগ হয়নি মাশরাফীর। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে যখন আবারও নেতৃত্বে ফিরলেন, দলে ভীষণ রকম উত্তাল পরিস্থিতি। সবরকম প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে একজন দক্ষ নাবিকের মতো হাল ধরেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। পেছন থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন দলের চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বাংলাদেশকে বহু স্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছেন এই পাঁচ ক্রিকেটার। একসঙ্গে তাই পাঁচজনকে ভালোবেসে উপাধি দেয়া হয় ‘পঞ্চপাণ্ডব’। সেই পঞ্চপাণ্ডবের একজন সাকিব আল হাসান এখন নিষেধাজ্ঞায় দলের বাইরে। থাকলে হয়তো তার হাতেই তুলে দেয়া হতো অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। যেহেতু আপাতত নেই, তাই নাম উল্লেখ না করেও বাকি তিন অভিজ্ঞ সতীর্থের কথাই বললেন মাশরাফী।
‘কারো নাম বলা তো কঠিন। অবশ্যই এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তবে সিনিয়র যারা আছে, সাকিব তো এখন বাইরে, সিনিয়র আরও যে তিনজন আছে। আর প্রক্রিয়াটা কি আমি জানি না, মানে সাকিব আসার পরে কী হবে। এখন থেকে প্রক্রিয়াটা কাউকে দিয়ে শুরু হবে কিনা। তবে আমি নিশ্চিত যারা তিনজন বর্তমানে আছে, তাদের অধিনায়কত্ব করার সামর্থ্য আছে। আমি আশা করছি যে সেরা তাকেই মনোনীত করা হবে।’
কেনো সেই তিনজনের একজনকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত তার পক্ষে একটা যুক্তিও দিয়েছেন আর এক ম্যাচ অধিনায়কত্ব করার অপেক্ষায় থাকা মাশরাফী, ‘শুনতে হয়তো কঠিন শোনাবে, একজন তরুণ ক্রিকেটারকে এখন বাংলাদেশ দলে বেশ চাপ নিয়ে খেলতে হয়। পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সবাই এখন সবকিছু লক্ষ্য রাখে। মিডিয়া, ক্যামেরা আছে।’
‘যারা দশ বছর ধরে খেলছে তাদের জন্য পরিস্থিতিটা সহজ, মিডিয়া কীভাবে সামলাতে হয় তারা সেটা জানে। বাইরের চাপটাও নিতে পারে। আমর পরামর্শ এমন কাউকে অধিনায়কত্ব দেয়া, যার আগে এই কাজে অভিজ্ঞতা আছে।’