অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশে উজ্জীবিত একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের বর্ষপূর্তিতে এমন মন্তব্য করে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গতিহীনতার অভিযোগ করেন।
বিশিষ্টজনেরা মনে করেন যে চেতনা নিয়ে মঞ্চ গড়ে উঠেছিলো তা অনেকটাই সফল হয়েছে।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ নতুন এক আন্দোলন শুরু করে। দিনটিকে জাগরণ দিবস হিসেবে পালন করে গণজাগরণ মঞ্চ। চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে শাহবাগে র্যালির আয়োজন।
রাজনীতিবিদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘সারাদেশে যে ঢেউ ছড়িয়ে দিয়েছিল আজকে তার চেয়ে শক্তিশালী জাগরণ প্রয়োজন। কারণ এখন শুধু ’৭১ এর ঘাতকদের বিচারের প্রশ্নেই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সেখান থেকেও দেশকে উদ্ধার করতে হবে।’
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন,‘ তরুণ প্রজন্মকে যদি বাংলাদেশের মুক্তির চেতনার মধ্যে রাখতে হয় তাহলে জাগরণের একটি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত জাগরণের এই প্রক্রিয়া উজ্জীবিত রেখেছে গণজাগরণ মঞ্চ।’
মঞ্চের মুখপাত্র ডাক্তার ইমরান এইচ সরকার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সামনের দিনগুলোতে আরো সুসংহত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।