নর্থ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলতে থাকলে যে কোনো মুহূর্তে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়্যাং ই বলেছেন, সত্যিই যুদ্ধ ছড়িয়ে পরলে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার নর্থ কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ ও ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া এবং এর ধারাবাহিকতায় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নামানোর পর নর্থ কোরিয়া পাল্টা হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রকে। এরপরই চীনের এই বক্তব্য এলো।
নর্থ কোরিয়ার একমাত্র সমর্থক রাষ্ট্র চীনের আশঙ্কা, যুদ্ধ বেঁধে গেলে নর্থ কোরিয়া দেশটির শাসনব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। এর ফল হিসেবে চীনের সীমান্তেও জটিলতা দেখা দেবে বলে উল্লেখ করে ওয়্যাং বলেন, ‘আমার মনে হয়, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই উচিত এই পরিস্থিতি নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকেই আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা কথা বা কাজের মাধ্যমে একে অপরকে উসকানো এবং হুমকি দেয়া বন্ধ করেন। তারা যেন পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে না যান যে তাকে আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
এর আগে নর্থ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে, মার্কিন যে কোনো হামলা মোকাবেলায় পিয়ংইয়াং প্রস্তুত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো উস্কানি ‘নির্দয়ভাবে’ ব্যর্থ করা হবে বলে জানানো হয় দেশটির পক্ষ থেকে।
দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হ্যান সং-রোল বলেছেন, নর্থ কোরিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র হামলার চেষ্টা করলে নর্থ কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বসে থাকবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নর্থ কোরিয়া সমস্যাটি’ সামলে নেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাবেই পাল্টা হুমকি দেয় নর্থ কোরিয়া।