মিয়ানমার সফরে গিয়ে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি কেন উচ্চারণ করেননি তা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। বাংলাদেশ থেকে ফিরতি ফ্লাইটে সাংবাদিকদের পোপ জানান, দেশটির নেতাদের সাথে আলোচনার দ্বার রুদ্ধ করতে চাননি তিনি।
পোপ বলেন: শব্দটি উচ্চারণ করলে, আমি হয়তো আলোচনার দরজাটা বন্ধ করে দিতাম।
তবে মিয়ানমারে ‘রোহিঙ্গা’ না বললেও বাংলাদেশে এসে শব্দটি উচ্চারণ করেন তিনি। বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিকেলে ঢাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলার সময় পোপ ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ উচ্চারণ করে বলেন: মিয়ানমারের এই নিপীড়িত মুসলিম জনগোষ্ঠীর মাঝেও ঈশ্বর আছেন।
সেই সঙ্গে তিনি আহ্বান জানান: শরণার্থী, নিপীড়িত সংখ্যালঘু, দরিদ্র আর বিপদগ্রস্ত মানুষকে বিশ্ব যেন ভুলে না যায়। সেদিন রোহিঙ্গাদের তিনটি পরিবারের ১৬ জন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন পোপ ফ্রান্সিস। তাদের দুর্দশার কথা শুনেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে ২৫ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপের আমন্ত্রণে সম্প্রীতি ও শান্তির বাণী নিয়ে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসেন পোপ ফ্রান্সিস।
ছয় দিনের এশিয়া সফরে পোপ ফ্রান্সিস ২৮ নভেম্বর ইয়াংগুনে পৌঁছান। সেখান থেকে ৩০ নভেম্বর ঢাকায় আসেন তিনি। তিনদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে শনিবার রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন পোপ ফ্রান্সিস।