মক্কায় প্রাণঘাতী ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী ছিঁড়ে পড়া একটি ক্রেন। এর বাইরেও মসজিদ আল-হারামের আশেপাশে আরো অনেকগুলো ক্রেন দাঁড়িয়ে ছিলো।
মসজিদ সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজে ওই ক্রেনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছিলো। সৌদি আরবে কয়েকদিনের টানা বালুঝড়ের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ক্রেনগুলো সরানো হয়নি।
শুক্রবার একটি ক্রেন ছিঁড়ে পড়ে প্রাণঘাতী ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জন্য ঝড় ও বৃষ্টিকে দায়ী করা হলেও সেদেশের সরকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১০৭ হাজির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো প্রায় ২৩০ জন। এ নিয়ে ১৯৯০ থেকে এ পর্যন্ত পবিত্র নগরী মক্কায় হজকেন্দ্রিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেলো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়া গাইবান্ধার আব্দুল আওয়াল মন্ডল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিকেলে আসরের নামাজের পর এ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের আগেই আমরা নামাজ পড়ে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঝড় শুরু হয়।
‘প্রথমে দমকা বাতাস শুরু হয় আস্তে আস্তে বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে সেই সাথে প্রচন্ড ঝড় এক ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করে।’