প্রতি বছর শীতকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা লাখ লাখ পরিযায়ী পাখির আগমনে মুখরিত হয়। পরিযায়ী এই পাখিরা এ দেশের জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা পালন করছে।
এই পাখিদের সংরক্ষণে আগামী ১০ ও ১১ মে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস।
বাংলাদেশের পাখিদের মধ্যে একটি বড় অংশ দখল করে আছে বিভিন্ন প্রজাতির এই পরিযায়ী পাখি। অনিন্দ্য সুন্দর পাখিগুলো প্রকৃতিরও অবিচ্ছেদ্য অংশ।
শীতের শুরুতেই বাংলাদেশের হাওর, বাওর, মোহনা, উপকূলীয় এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলো পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠে। খাদ্য ও আশ্রয়ের সন্ধানে এসব পাখি হাজার হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এদেশে আসে।
পরিযায়ী পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, মাটিকে উর্বর করে তোলাসহ জলজ পরিবেশকে সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কিন্তু জলাভূমি কমে যাওয়া এবং জাল, ফাঁদ ও বিষ টোপের কারণে দিন দিন এই পাখিদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়া এরা প্রতিবছর যে নির্দিষ্ট পথ ধরে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে যায় সেই পথগুলোও নিরাপদ নয়।
দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাওয়া পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, পরিযায়ী পাখিদের আগমনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরিবেশ সুন্দর করতে চাইলে এদের উড়ে চলার পথের নিরাপত্তা ও বসবাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তবেই নান্দনিক সৌন্দর্যের সাথে সাথে বজায় থাকবে পরিবেশের ভারসাম্য।