যেমন উচ্চমাপের খেলোয়াড় ছিলেন, তার বোলিংয়ের ভিডিও দেখেই অনেক তরুণ নিজের মাঝে বুনে নিয়েছেন, নিজেকে গড়ে নিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম হওয়ার স্বপ্ন-পথ। সেই কিংবদন্তি যদি কাউকে কোচিং করান, নিশ্চিতভাবে সেটা হবে অসাধারণ এক ব্যাপার। স্বদেশ পাকিস্তানের কোচ হলে তো কথাই নেই।
পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টুয়েন্টি লিগে কোচিং, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং পরামর্শক হওয়ার বাইরে ওয়াসিম আকরামকে দেখা যায়নি কোচের বড় কোনো দায়িত্ব নিতে। পাকিস্তানের উত্তপ্ত কোচিং চেয়ারে তো বসার ইচ্ছেটাই নাই বলে জানালেন সাবেক বাঁহাতি পেসার।
নিজ দেশের জাতীয় দলের কোচ না হতে চাওয়ার অবশ্য বিবিধ কারণ আছে ওয়াসিমের। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কয়েকটি কারণ জানালেন নিজ মুখে। বলেছেন কোচিংয়ের জন্য এত দীর্ঘ সময় বের করতে না পারার কথা।
‘যখন আপনি কোচ হবেন, তখন বছরে ২০০ থেকে ২৫০ দিন সময় দিতে হবে দলকে, সেটি অনেক দীর্ঘসময়ের কাজ। মনে হয় না পাকিস্তানের বাইরে কাজের এতটা সময় আমি বের করতে পারব, পরিবার থেকে এতটা সময় দূর থাকতে পারব।’
‘তাছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের সঙ্গেই আমি অনেক সময় কাটাচ্ছি, পিএসএলে, তাদের সবার কাছে আমার নাম্বার আছে, চাইলেই তারা যেকোনো পরামর্শের জন্য ফোন করতে পারে।’
আকরাম নতুন করে সামনে এনেছেন দর্শকদের লাগামহীন আচরণের বিষয়টিও, ‘আমি তো বোকা নই। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখি, দেখি, মানুষজন কীভাবে আমাদের কোচদের ও সিনিয়রদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে থাকে।’
‘কোচ তো মাঠে খেলেন না। মাঠে কেবল খেলোয়াড়রাই খেলে। কোচ কেবল পরিকল্পনাতে খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, যদি দল হারে, আমি মনে করি না কোচকে সেই হারের জন্য দায়ী করা উচিত বা কোচকে হারের জন্য দোষীসাব্যস্ত করে সম্মিলিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার আছে।’
‘আমি মনে করি না এসব নিতে পারব। আমার সাথে কোনো বাজে আচরণ সহ্য করতে পারব না। আমি সমর্থকদের ভালোবাসি, খেলাটার জন্য তাদের আবেগকে সমর্থন করি, কিন্তু বাজে আচরণগুলো মোটেই নয়, যা তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাতার প্রদর্শন করতে থাকে। অন্য কোনো দেশে আমি এমনটা ঘটতে দেখিনি।’