ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার বলা হয় থালাপতি বিজয়কে। তাকে তুলনা করা হয় রজনীকান্তের সঙ্গেও! তবে সম্প্রতি তার এক কাণ্ডে হতবাক সবাই।
চিত্রপরিচালক এসএ চন্দ্রশেখর ও শোভার ছেলে বিজয়। আর তাদের সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেন এই সুপারস্টার। নিজের বাবা মায়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়ায় আলোচনার শীর্ষে এই নায়ক।
আদালতে বিজয় যে মামলা করেছেন তাতে বলা হয়েছে, কেউ তার নাম নিয়ে প্রকাশ্যে জন আলোচনা সভা বা সমাবেশ আয়োজন করতে পারবে না। এর পিছনে আছে বড় কারণ। কিছুদিন আগেই এই অভিনেতার বাবা ছেলের নাম করে ‘অল ইন্ডিয়া থালাপাতি বিজয় মাকল আইয়াকাম’ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন বিজয়ের বাবা এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে আছেন তার মা শোভা চন্দ্রশেখর।
বিজয়ের অভিযোগ, তার ফ্যানক্লাবকে ভুল পথে চালিত করে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছেন তার বাবা। যার অনুমতি তিনি কখনোই দেননি।
এর আগে বিজয় একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন যে, আমার বাবার দেওয়া রাজনৈতিক বিবৃতির সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও সম্পর্ক নেই। আমি আমার অনুরাগীদের অনুরোধ করছি, আমার বাবা যে পার্টি শুরু করেছেন তাতে যোগ দেবেন না।
তখনই তিনি জানিয়ে দেন, যদি কেউ রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার জন্য তার ছবি, নাম বা তার ফ্যান ক্লাবের অপব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন।
১৯৮৫ সালে ‘নান সিবাপু মনিথন’ নামক একটি ছবিতে রজনীকান্তের সঙ্গে শিশু চরিত্রে অভিনয় করেন বিজয়। তারপর একাধিক হিট ছবিতে তাকে দেখা গিয়েছে। জানা যায়, দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টারদের মধ্যে তিনি অন্যতম! পারিশ্রমিকেও তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে।
বিজয়ের নামে বেশ কিছু ফ্যানক্লাব আছে, যেগুলোতে আছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিজয়ের কোনও ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তা সুপার হিট বলে ধরে নেওয়া হয়। আর এই কারণেই বিজয়ের ওপর বাজি রেখে বিগ বাজেটের ছবি তৈরি করেন পরিচালকরা।