প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১৫ সালের আগস্টে ডিবি ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি জিডি করেন, যেটি পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দেশে এবং দেশের বাইরে তার জীবননাশসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে বিএনপির হাইকমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে অর্থায়ন করছে।
হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওই মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামী করা না হলেও বিএনপির নেতৃত্বে জোটভুক্ত, দেশে বিদেশে অবস্থানরত উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়। ওই মামলার তদন্ত করছিলো ডিবি।
সেই মামলাতেই গ্রেফতার দেখানো হয় শফিক রেহমানকে।
বাংলাদেশে পুলিশের করা মামলাটিতে ওই রায়ের বিবরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ করা হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যে কোনো ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন এবং এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাইকমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থায়ন করছে।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জাসাসের সহসভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি নেতার ছেলের দণ্ডের পর আওয়ামী লীগ নেতারাও দাবি করেন, শেখ হাসিনার ছেলেকে অপহরণের ষড়যন্ত্রে তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা জয় যুক্তরাষ্ট্রে সিজারের বিরুদ্ধে ওই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলেও জিডিতে তুলে ধরা হয়েছে।