আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি‘ হিরো ৪২০’ মুক্তি দেয়ার কথা বাংলাদেশে থেকে থাকলেও। হঠাৎ করেই নুসরাত ফারিয়ার দ্বিতীয় সিনেমাটি আটকে গেলো সেন্সর বোর্ডে।
ছবির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এফডিসি তথ্য মন্ত্রকের কাছে ছবিটি জমা দিলেও তারা জানিয়েছে নিয়ম না মেনেই এই ছবি বানানোর কারণে আটকে রয়েছে ছবির মুক্তির তারিখ। যার ফলে সেন্সর বোর্ডের কাছে এখনও ছবি জমা করতে পারেনি।
আটকে থাকা ‘হিরো ৪২০’ নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যৌথ প্রযোজনার ভিত্তিতে ছবিটির শুটিং করা হয়নি। বাংলাদেশে শুটিং কম, বাংলাদেশের শিল্পীদের কম নেওয়া বা ছবিতে থাকলেও তাদের কোনঠাসা করে রাখার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের পরিচালক সৈকত নাসির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, সিনেমার মুক্তি আটকে গেছে বিষয়টি ঠিক তেমন না। এখানে কয়েকটি বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এসব কারণ দর্শানোর মতো সব কিছুই আমাদের কাছে আছে।
আমরা বাংলাদেশ থেকে নতুন শিল্পী নিচ্ছি। তাদেরকে রেকগনাইজড করতে পারছি না। আমরা তাদের পাসপোর্ট ও ভিসার কপি সাবমিট করেছি। এখন সিনেমাটি প্রিভিউ কমিটিতে রয়েছে। প্রিভিউ কমিটি ছেড়ে দিলে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়বে। আশা করছি, ঠিক নির্ধারিত সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারবো।
অন্যদিকে কলকাতার প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার গত ৭ ফেব্রুয়ারি ‘হিরো ৪২০’ ছবি সংক্রান্ত একটি খবর ছাপিয়েছে। আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগের ছবি ‘হিরো ৪২০’র ভারতের মুক্তির দিন ঠিক হয়ে গেলেও বাংলাদেশে ছবি মুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
সেন্সর বোর্ড নাকি এখনও সবুজ সংকেত দেয়নি বাংলাদেশে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতে এই ছবির মুক্তির কথা। তার ঠিক একসপ্তাহ পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ঠিক হয়নি মুক্তির তারিখ।
জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় এই ছবি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের সৈকত নাসির ও ভারতের সুজিত মন্ডল। ছবিতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, রিয়া সেন ও ওম।
এখন জাজ মাল্টিমিডিয়ার চোখ শুধু সেন্সর বোর্ডের দিকে। প্রচার-প্রচারণায় কোনো কমতি রাখেননি এ সংস্থা। এছাড়া সারাদেশে মুক্তির দেওয়ার জন্য হলগুলো বুকিং’র অপেক্ষায় রয়েছে। দেখা যাক নুসরাত ফারিয়া তার দ্বিতীয় ছবির বাধা পেড়িয়ে কতুটুকু সফল হন।
‘ হিরো ৪২০’ সিনেমার এক ঝলক