তীব্র গরমে অসহনীয় যানজট সঙ্গে রাস্তা খোড়াখুড়িতে প্রায় দুই বছর ধরে দুর্ভোগে থাকার পর সম্প্রতি কিছুটা স্বস্তিতে আছে উত্তর সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। তবে এখনো অনেক রাস্তাই রয়েছে উন্নয়নের বাইরে। দূর্গন্ধমুক্ত এলাকা গড়তে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলাবদ্ধতাকে বিদায় জানাতে নেওয়া হয়েছে কার্যকর উদ্যোগ।
যানবাহন আর মানুষের ভিড় আর শোরগোলেই বোঝা যায়, কারওরান বাজার হয়ে সংসদ ভবনে যেতে সারি সারি বাস-টেম্পো দেখলেই বোঝা যাবে এটি শহরের ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেইট। উত্তর সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর জীবনে গ্রীণ রোড ও ইন্দিরা রোডের লেগুনা স্ট্যান্ড দুটিই দুর্ভোগের অন্যতম কারণ।
রাজপথ ধরে একটু এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। ওয়ার্ডের সব কন্টেইনার ডাস্টবিন এখন এক জায়গায় যা প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই করা হয় পরিস্কার। খামারবাড়ি এবং ইন্দিরা রোডের সংযোগ চক্করকে এলাকাবাসী নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর। আর ওয়ার্ডের একমাত্র খেলার মাঠ টিএন্ডটি মাঠে রাত দিন চলছে খেলাধুলা।
সম্প্রতি কিছু রাস্তার কাজ শেষ করেছে সিটি কর্পোরেশন। রাস্তার উন্নয়নে এলাকাবাসী খুশি হলেও অনেক রাস্তায় এখনো লাগেনি উন্নয়নের ছোয়া। স্থায়ী কাঁচা বাজার না থাকায় রাস্তার ওপরেই বসছে অস্থায়ী কাঁচাবাজার। আছে জলাবদ্ধতা সমস্যাও।
সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় চেয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান। যে কোনো দুর্যোগ থেকে ওয়ার্ডবাসীকে রক্ষা করতে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণে নির্ধারিত জায়গায় ভবন নির্মাণের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ওয়ার্ডকে নিরাপদ এলাকা তৈরি করার জন্য দিন-রাত কাজ করছি। মাদকের কোনো চিহ্ন থাকবে না। এলাকার প্রতিটি রাস্তার মুখে একটি করে গেট থাকবে ও একটি করে সিসি ক্যামেরা থাকবে। অত্যন্ত মানুষ যেনো বলতে পারে, এ এলাকাটি নিরাপদ।
ওয়ার্ডবাসীর নিরাপত্তায় বিভিন্ন মোড়ে বসেছে সিটি ক্যামেরা। সবুজায়নে প্রণোদনা দেওয়ায় বাড়ির ছাদে নতুন করে পর্যাপ্ত গাছ লাগাচ্ছেন ভবন মালিকেরা। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করতে উত্তর সিটির এই ওয়ার্ডেই প্রথম তৈরি হয়েছে আধুনিক লাইব্রেরি।