হার্ট সার্জন হওয়ার জন্য পড়ালেখা করছিলেন তিনি, কিন্তু ভাগ্যে লেখা ছিলো অন্য জিনিস, তাই হার্ট সার্জন হয়ে ওঠার আগেই মানুশি চিল্লার বনে গেলেন মিস ওয়ার্ল্ড। আর এর মাধ্যমে বদলে গেলো তার জীবনের পুরো চিত্রনাট্য।
৫৪তম মিস ওয়ার্ল্ড টাইটেলধারী ২০ বছর বয়সী চিল্লার ভারতের হরিয়ানা রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের মোট ২৯ জনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে সর্বোচ্চ আসরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ বছরের শুরুতে তিনি পরেছিলেন ভারতের প্রিয়দর্শিনী মুকুট।
পরে ১০৮ দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে বিজয়ের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছান তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠিত ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত পর্বে নতুন এই মিস ওয়ার্ল্ডকে মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের বিশ্বসুন্দরী স্টেফানি দেল ভালে।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রবেশের আগে মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে পড়ালেখা করলেও ধ্রুপদী নৃত্যে বিশেষ দখল রয়েছে তার। এছাড়া প্যারাগ্লাইডিং, বাঙ্গি জাম্পিং, পানির তলে স্কুভা ডাইভিংসহ দুঃসাহসী খেলাও তার পছন্দের। অবসর সময়ে আঁকাআঁকিও করেন চিল্লার। এ থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় জীবনের লক্ষ্য পছন্দে ‘জীবন’কে কতোটা প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।
প্রতিযোগিতার ‘বিউটি উইথ এ পারপাস’ প্রজেক্টের অংশ হিসেবে মানুশি নারীদের পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেনতা তৈরীর মতো গুরুত্বপূর্ণ টপিকের উপর কাজ শুরু করেন। তার এই উদ্যোগের নাম দেয়া হয় প্রজেক্ট শক্তি। তিনি ২০টির বেশি গ্রাম ঘুরে ৫ হাজার নারীর জীবনে পরিবর্তন আনতে ভূমিকা পালন করেন।
সেরা ৫ এর বাকি ৪ জন ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম ও সাউথ আফ্রিকার। মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, ব্রাজিল, রাশিয়া, ফিলিপিন্স, কুক আইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফিজি, মঙ্গোলিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের প্রতিযোগীরা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।