চট্টগ্রাম থেকে: বছরখানেক আগেও মনে হচ্ছিল টেস্ট দলে তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা সফরে নিজেদের শততম টেস্টের স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়ায় তার বড় দৈর্ঘ্যের ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সাধনা থাকলে সময় যে সব ফিরিয়ে দেয় তারই বড় উদাহরণ এখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাদা পোশাকের দৌড়ে ধাক্কার সেই সময়টা এখন কেবল অতীতই নয়, বর্তমানেরও রং পাল্টেছে; শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছেন রিয়াদ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে পড়ায় সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাঁধে টেস্টের নেতৃত্বভার। বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই উঠে এল নেতৃত্বের প্রসঙ্গটি। মাহমুদউল্লাহ চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন।
‘ক্রিকেটারদের জীবনে চ্যালেঞ্জ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা ভাল একটা সুযোগ, আপনি যেটা বললেন- সেটির থেকেও সিরিজটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে আমরা ওয়ানডে সিরিজটা শুরু করেছিলাম (আসলে ত্রিদেশীয় সিরিজ) সেখান থেকে ধরে রাখাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
টাইগারদের দশম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাগরিকায় অভিষেক হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর। তাতে গর্ববোধ করলেও যেভাবে অধিনায়ক হয়েছেন সেটা অন্যসবার মতো মাহমুদউল্লাহর কাছেও অপ্রত্যাশিত। দলের সেরা পারফর্মারকে (সাকিব) না পাওয়া দলের জন্য বিপর্যয় বলেও উল্লেখ করলেন অধিনায়ক।
‘যেভাবে পেয়েছি সেভাবে পেতে চাইনি অবশ্যই। কারণ সাকিব আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ওকে হারানো দলের জন্য বড় একটা বিপর্যয় বলতে হবে। ওর মতো টপ ক্লাস ক্রিকেটারকে মিস করা দলের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর একটা জিনিস। তারপরও দিন শেষে সবাই বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করাও একটা সুযোগ। দলের জন্য ভাল কিছু করা, সেদিক থেকে আমরা সবাই বেশ রোমাঞ্চিত।’