রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, পাহাড়ের শান্ত পরিবেশকে যারা অশান্ত করতে চায় তারাই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।
“এখানে আমাদের পরিষ্কার কথা, যারা এখানে পাহাড়ের নিরীহ জনসাধারণকে শান্তিতে থাকতে দিতে চাচ্ছে না, আমরাও তাদেরকে শান্তি থাকতে দেব না। যেকোন মূল্যে আমরা সন্ত্রাসীদেরকে চিহ্নিত করবো।”
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। সন্ত্রাসীদের আমরা সমূলে উৎখাত করবো। এ বিষয়ে কোন প্রকার দ্বিধা কিংবা শিথিলতা প্রদর্শন করা হবে না।
‘পার্বত্য অঞ্চলের যেসব জনগোষ্ঠি যারা আছে, তাদেরকে শুধু আশ্বস্ত নয়, আমরা তাদের পাশে আছি এবং সরকারের পক্ষ থেকে এখানে কঠোর নিদের্শ রয়েছে যে, আর এক ফোঁটা রক্ত যদি মাটিতে ঝড়ে, সেখানে আমরা তাদের অত্যন্ত কঠোর ভাবে আমরা দমন করবো।’
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের ৫ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের পর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনী সাড়াঁশি অভিযান চালাচ্ছে। নানিয়ারচরের পর পর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নানিয়ারচরের একমাত্র সড়ক পথ রাঙ্গামাটি মহালছড়ি খাগড়াছড়ি সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নানিয়ারচরে সেনা ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে নানিয়ারচরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। দোকানপাট খোলা থাকলেও মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
অন্যদিকে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, বর্তমানে নানিয়ারচরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা বাহিনী টহল দিচ্ছে। তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৫ জনের হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের বেতছড়ির কেংক্রাছড়ি নামক স্থানে দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক দলের আহবায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ৫ জন নিহত ও ৮ জন আহত হন।
তারা সবাই বৃহস্পতিবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমার দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।